Logo

আন্তর্জাতিক    >>   ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর বৈঠক ও গাজার ভবিষ্যৎ

ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর বৈঠক ও গাজার ভবিষ্যৎ

ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর বৈঠক ও গাজার ভবিষ্যৎ

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম বিদেশি নেতা হিসেবে ৪ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে সাক্ষাৎ করবেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এই বৈঠকে গাজা, যুদ্ধবিরতি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার পরবর্তী পদক্ষেপ এবং দুই দেশের মধ্যে আরও পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলাপ করবেন।

বাইডেন প্রশাসনের সময়, গাজার মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর, ট্রাম্প ও বাইডেন উভয়ই এর কৃতিত্ব দাবি করেছেন। তবে, আন্তর্জাতিক মিডিয়া, বিশেষ করে আল জাজিরা, বলছে যে, গাজার দুর্ভোগকে পুরোপুরি শেষ করা সম্ভব হবে না, বরং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের জোটের আড়ালে বড় পরিকল্পনা তৈরি হতে পারে। গাজার জনগণ এই সন্দেহের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে, বিশেষ করে যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বৈঠক হতে যাচ্ছে।

এদিকে, ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনায় গাজার জনগণকে মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তর করার বিষয়টি উঠে এসেছে। ট্রাম্প এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি চান গাজাবাসীকে এমন একটি অঞ্চলে পাঠাতে, যেখানে যুদ্ধ-বিগ্রহ না ঘটে। এই ধারণা বাস্তবায়নে মিশর এবং জর্ডানের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ট্রাম্প প্রস্তুত।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প সম্প্রতি মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন এবং মিশরের মার্কিন সহায়তার প্রতিদান হিসেবে গাজার বিষয়টি আলোচনায় আনতে বলেছেন। যদিও মিশর কর্তৃপক্ষ এই খবরকে গুজব হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছে, বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য মিশরের বিরুদ্ধে মার্কিন সামরিক সহায়তাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে।

এদিকে, ট্রাম্পের একাধিক পদক্ষেপের মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে ১৯৪৯ সাল থেকে মিশরকে দেওয়া প্রায় তিন হাজার কোটি ডলার সামরিক সহায়তা। এই সহায়তা এখন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত উপকরণ হয়ে উঠতে পারে, কারণ ট্রাম্প তার পরিকল্পনার জন্য মিশরের সহযোগিতা চেয়েছেন।

ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহুর বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার পাশাপাশি গাজার রাজনৈতিক পরিস্থিতি, যুদ্ধবিরতি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা হবে। যদিও এই বৈঠক নিয়ে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে, তবুও এটি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক হতে চলেছে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert